Monday, July 13, 2009

কবিতা' ২০০৮ : আনকোড়া কতিপয় খসড়া কবিতা

ইদানিং কবিতা

ইদানিং কবিতা মাঝরাতে চুলে বিলি কাটে
আমি অবসন্ন আরামে চোক বুজে থাকি, শূণ্যতা ভাসে ছন্দের পরতে-
ভাঁজ ভাঁজ সুরগুলো বহতা নদীর মতো কোন্ পানে বয়ে চলে যায়...

আমার বিছানা জুড়ে সহসা দেখি এলায়িত অনুপ্রাস
ঘুমঘুম চোখ মেলে চেয়ে আছে আমার দিকে, তালেরা উধাও-
বদলে ভৈরবী, উলঙ্গ মাতমে অনাবিল মূর্ছনা বাজায়...

অতঃপর বর্ণ সাজানো শ্রমে আর ঘামে
বর্ণ থেকে বাক্য- বাক্য জুড়ে কাব্যময় বাহারী উপমার মাদকতা-
কল্পের চিত্রগুলো মূহুর্তে প্রাণময় মুগ্ধ ইশারায়...

শ্রীপুর/ এপ্রিল ০৪, ২০০৮।।



ছিন্ন কবিতা

১.
রসগন্ধে মেতে আছি আজন্ম নেশাতুর আমি জলজ অবগাহনে
তৃষাতুর দুই গ্রীবা নিয়ত ফলবান দেখো তোমার আর্শীবাদে..

২.
এসো বিষন্নতা
আবারো সাজাই চিতা
আজন্ম দহনের।

৩.
মেঘপরী তোমার মেঘের কালোতে কাজল পড়েছি চোখে
বনলতাগুলো মুখ ভার করে আছে কালো কালো অভিমানে।

৪.
বর্ণচোরা মন
করে উচাটন
কাকে ফেলে কাকে রাখি,
রাতের নির্জনে
একাকী আনমনে
অতঃপর শূণ্যতাকে আঁকি।

শ্রীপুর/ এপ্রিল ০৫, ২০০৮।।



অর্পণ

ঘুমভাঙ্গা কাতর রাত্তিরে পিলপিল করে যাই প্রেয়সীর কাছে
কানে কানে মুখ রেখে বলি-
‘তুমি কি জলের তৃষ্ঞা মেটাতে পারো?’
‘পারি’।
‘অগ্নির দহন থামাতে পারো?’
‘পারি’।
‘কলকল বয়ে যাওয়া নদীকে ঘোরাতে পারো অন্য কোনো দিকে?’
‘পারি’।
‘করতে পারো শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জমে থাকা বিষের বিণাশ?’
‘নিশ্চয় পারি’।

সুতরাং আমি আমাকে অর্পণ করি তার কাছে।
আমার ঠোঁটের তৃষ্ঞা
বুকের দহন
লিঙ্গের বহমান চোরা স্রোত
গতরের ভাঁজ ভাঁজ কামনার বিষ..
এইসব আদি অনাদি মৌল প্রাচীন অন্ধ বধির মূর্খ বোধগুলোকে
অনায়াসে তুলে দিই প্রেয়সীর আঁচলে;

অথচ আমার অশ্রু ও হতাশা- যাতনা ও ঊন্মাদনা- স্বপ্ন ও স্বপ্নহীনতা
এইসব; এইসব বলিষ্ঠ শব্দগুলোকে কোথায় গচ্ছিত রাখি?

শ্রীপুর/ মার্চ ২০, ২০০৮।।

0 comments:

© Imon Reza একজন বোকাসোকা সাধারণ মানুষ, founder of nondon 2009

Back to TOP